ব্রণ হচ্ছে কেন? ডাক্তার বললেন ৬টি অদ্ভুত কারণ!
ব্রণ শুধু একটি ত্বকের সমস্যা নয়, এটি আত্মবিশ্বাস নষ্ট করার অন্যতম বড় কারণ। অনেকেই ভাবেন শুধুমাত্র তেলতেলে ত্বক বা ধুলাবালির কারণেই ব্রণ হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, আরও কিছু অদ্ভুত কারণ রয়েছে যা ব্রণ সৃষ্টি করে এবং বারবার ফিরে আসে।
এই লেখায় জানবে এমন ৬টি অজানা কারণ যেগুলোতে নিয়মিত ব্রণ হতে পারে।
১. চুলের তেল বা কন্ডিশনার
হ্যাঁ, অবাক লাগলেও সত্যি—তোমার ব্যবহৃত হেয়ার অয়েল, কন্ডিশনার বা হেয়ার জেল ব্রণের কারণ হতে পারে। চুলের তেল যখন কপালে বা গালে পড়ে, তখন ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়, ফলে ব্রণ সৃষ্টি হয়। এ কারণে তেল ব্যবহার করার পর ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলা জরুরি।
২. মোবাইল ফোনের স্ক্রিন
তুমি জানো কি, প্রতিদিন ব্যবহার করা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে থাকে হাজারো জীবাণু? ফোনে কথা বলার সময় স্ক্রিন গালে চাপ পড়ে, এতে করে ব্রণ বেড়ে যায়। ফোন নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করো।
৩. ধরাবাঁধা বালিশের কভার
রাতে ঘুমানোর সময় ত্বকের সাথে সবচেয়ে বেশি ঘর্ষণ হয় বালিশের কভারের। যদি সেটি নিয়মিত পরিষ্কার না করো, তবে ত্বকে জমে থাকা ঘাম, ময়লা ও তেল থেকে ব্রণ হতে পারে। সপ্তাহে অন্তত ২ বার কভার ধুয়ে নেওয়া উচিত।
৪. বেশি চিনিযুক্ত খাবার
মিষ্টি, কোমল পানীয় বা ফাস্ট ফুডে থাকা অতিরিক্ত চিনি ইনসুলিন বৃদ্ধির মাধ্যমে ত্বকে অয়েল প্রোডাকশন বাড়ায়। এতে ছিদ্র বন্ধ হয়ে ব্রণ হয়। সুস্থ ত্বকের জন্য খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনো।
৫. স্ট্রেস বা মানসিক চাপ
চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে কর্টিসল হরমোন বেড়ে যায়, যা ব্রণের প্রবণতা বাড়ায়। নিয়মিত ঘুম ও মেডিটেশন এই সমস্যায় উপকারী।
৬. ভুল কসমেটিকস ব্যবহার
সব ত্বকের জন্য সব কসমেটিকস নয়। যেসব পণ্যে কমেডোজেনিক উপাদান আছে, সেগুলো ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে দেয়, ফলে ব্রণ হয়। Always check “non-comedogenic” label before buying.
কীভাবে ব্রণ কমানো যায়?
- দিনে ২ বার মুখ ধুয়ে পরিষ্কার রাখো
- অতিরিক্ত কসমেটিকস ব্যবহার এড়িয়ে চলো
- পানি বেশি খাও
- মুখে হাত দেওয়া বন্ধ করো
- ঘাম হলে সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করো
উপসংহার:
ব্রণ কখনো কখনো ছোট বিষয় মনে হলেও, এটি ত্বক ও মন দুইয়ের ওপর প্রভাব ফেলে। কারণ জানলে প্রতিকার সম্ভব। তাই এসব অজানা কারণ বুঝে এখনই লাইফস্টাইল ঠিক করো। তবেই ব্রণ থাকবে নিয়ন্ত্রণে।