বাচ্চা কথা না শুনলে মমতাজের গান শুনিয়ে ভয় দেখাই! বললেন হবিগঞ্জের রেশমা

 

ডেইলি ভুয়াবার্তা রিপোর্টঃ

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার এক সাহসী মা, রেশমা বেগম, parenting-এ এক নতুন যুগের সূচনা করেছেন। বাচ্চারা যখন রাত জেগে মোবাইলে ফ্রি ফায়ার খেলে আর পড়াশোনা ভুলে যায়, তখন রেশমা তাদের চোখে চোখ রেখে বলেন, “একটু যদি আর জেদ করিস, মমতাজের ‘বিয়াই আইসো নে’ ফুল ভলিউমে ছেড়ে দিব!”

এই ঘোষণার পরই নাকি শিশুটির শরীর বেয়ে ঠাণ্ডা ঘাম ঝরে পড়ে, চোখে জল চলে আসে এবং সে সোজা বই হাতে বসে পড়ে।

স্থানীয় প্রতিক্রিয়া:

রেশমার এই ব্যতিক্রমী প্যারেন্টিং স্টাইল ইতিমধ্যে এলাকায় ভাইরাল হয়েছে। পাশের বাসার ফারজানা আপা জানালেন, “রেশমার বাসায় গেলে দেখি বাচ্চারা লাইনে! এমনকি একদিন ওর ছেলে নিজে ইউটিউবে সার্চ করে বলছিল, ‘মা প্লিজ ওটাই দিও না!’”

মমতাজের গান মানেই শাস্তি?

এই বিষয়ে মমতাজ ভক্তরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। এক ভক্তের ভাষ্য, “মমতাজ আপা আমাদের প্রেরণা, ভয় না! এইভাবে গানকে প্যানিশমেন্ট বানানো মানেই সঙ্গীতের অপমান!”

তবে রেশমা বললেন, “দেখেন ভাই, আমি ক্লাসিকাল শুনাইলে ওরা ঘুমায়, কিন্তু মমতাজ শুনাইলে চোখে পানি আসে—ভয়ে না ভালোবাসায় সেটা আমি জানি না!”

মনোবিজ্ঞানীদের মতামত:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মনোবিজ্ঞানী জানান, “শিশুদের ভয় দেখানো আদর্শ পদ্ধতি নয়, তবে ভয়টা যদি ‘বিয়াই আইসো নে’ হয়, তাহলে সেটা শুধু ভয় না, ট্রমা হিসেবেও থেকে যেতে পারে।”

সতর্ক বার্তা:

হবিগঞ্জের প্রশাসন অনুরোধ জানিয়েছে, “অন্তত রাত ১০টার পর মমতাজের গান বাজানো থেকে বিরত থাকুন। পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে।”

রেশমা এখন ভাবছেন, পরবর্তী স্তরে যেতে—“পরের বার কথা না শুনলে রুমে হারমোনিয়াম নিয়ে গিয়ে গান ধরবো—‘তোমার হাত পাখার বাতাসে…’”

**ডিসক্লেইমার: এই প্রতিবেদনটি পুরোপুরি কাল্পনিক ও ব্যঙ্গাত্মক। কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়।**