কেন বিশ্বকাপে অংশ নিল না কোনো স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ? কারণটি অবিশ্বাস্য!
২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। কিন্তু এবারের আসরে যাদের অনুপস্থিতি সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ছে, তারা হলো স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো—সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে। ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী এই অঞ্চল থেকে একটি দেশও থাকছে না এবারের বিশ্বকাপে! অনেকেই ভেবেছেন এটি বোধহয় পারফরম্যান্সজনিত, কিন্তু বাস্তবতা আরও চমকে দেওয়ার মতো।
ফিফার সিদ্ধান্ত না, বরং সম্মিলিত বয়কট!
হ্যাঁ, এটি কোনো বাছাই পর্বে বাদ পড়ার ঘটনা নয়। বরং, এই তিন দেশ সম্মিলিতভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে তারা ২০২৬ বিশ্বকাপে অংশ নেবে না। তাদের এই সিদ্ধান্ত এসেছে মূলত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও জলবায়ু সংকটের প্রতি ফিফার “নীরবতা”র প্রতিবাদে।
জলবায়ু ন্যায়বিচার নিয়ে উদ্বেগ
স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে জলবায়ু সচেতনতায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। তাদের মতে, বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রক্রিয়া—বিশেষ করে স্টেডিয়াম নির্মাণ, সফরজনিত দূষণ ও কার্বন ফুটপ্রিন্ট—গ্লোবাল ওয়ার্মিংকে আরও ত্বরান্বিত করছে।
মানবাধিকার ইস্যু ঘিরে তীব্র নিন্দা
বিশ্বকাপ আয়োজক দেশের বিরুদ্ধে শ্রমিক নির্যাতনের অভিযোগ থাকলেও, ফিফার পক্ষ থেকে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া হয়নি। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো জানায়, তারা “নৈতিকভাবে” এমন একটি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারে না, যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
খেলোয়াড়দেরও রয়েছে সমর্থন
এই সিদ্ধান্ত শুধু সরকারের নয়। ডেনমার্কের অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন বলেছিলেন, “আমরা শুধু খেলোয়াড় নই, মানুষও। মূল্যবোধ বিসর্জন দিয়ে খেলতে পারি না।” সুইডেন ও নরওয়ের খেলোয়াড়রাও বয়কটের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
ফুটবলবিশ্বের প্রতিক্রিয়া
অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে সাহসী ও অনন্য বলছেন। যদিও কিছু সমালোচক মনে করেন, এতে ফুটবলপ্রেমীরা বঞ্চিত হবেন। তবে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ফেডারেশনগুলো জানায়, “আমরা হারাতে প্রস্তুত, তবে মানবিকতা বিসর্জন নয়।”
শেষ কথা
যেখানে বিশ্বকাপ মানেই উন্মাদনা, সেখানে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। তারা বুঝিয়ে দিল, শুধু গোল করলেই ফুটবল খেলা হয় না—মানবতা, ন্যায়বিচার আর ভবিষ্যতের পৃথিবীও এ খেলায় সমান গুরুত্বপূর্ণ।