গানের যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে মমতাকে জেলে না আনার প্রস্তাব কয়েদীদের! রাখতে বললেন অন্য কোথাও!

Daily Bhuabarta রিপোর্টার | সাজার পিছনে সত্য, সত্যের পেছনে ব্যথা!

ঢাকার একটি কারাগার হঠাৎই অস্থির। তবে না, কোনো কয়েদি পালানোর চেষ্টা করেনি। বরং তারা চায়— “মমতা আপাকে জেলে না আনা হোক!”

সাবেক এমপি মমতা সম্প্রতি দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতারের সম্ভাবনার মুখোমুখি। আদালতের নির্দেশ আসার আগে কারা কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য বন্দি হিসেবে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর রটে— মমতা গান প্র্যাকটিস করেন সকালে, দুপুরে এবং রাতে।

কয়েদিরা এই খবর শুনেই বিদ্রোহ করে। এক খোলা চিঠিতে তারা লেখে,

“আমরা দাগী আসামি হতে পারি, কিন্তু এতটা দুঃখ প্রাপ্য নয়। মমতা আপার গান শুনে যদি কেউ একবার শুনে ফেলেন, তিনি দ্বিতীয়বার আর কিছুই শুনতে পারবেন না। দয়া করে ওনাকে অন্য কোথাও রাখুন— প্লিজ!”

একজন কয়েদি বলেন, “আমার সেলে এখনো সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তৃতা চালানো হয়, তাও সহ্য করা যায়। কিন্তু মমতা আপার গান? ওটা তো সাউন্ড টর্চার!”

জেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট স্বীকার করেছেন, “শুধু কয়েদিরা নয়, গার্ডরাও আতঙ্কিত। দুই ঘণ্টা রিহার্সাল চললে আমরা সবাই চুপসে যাই।”

অপরাধ বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটা মানবাধিকারের বিষয়। গান শিল্প হলেও, সব শিল্পের সীমা থাকা উচিত।

এদিকে মমতা আপা জানান, “গান আমার আত্মা থেকে আসে। কয়েদিরা বুঝে না, ওরা সংস্কৃতির শত্রু।”

শোনা যাচ্ছে, সরকার মমতার জন্য আলাদা একটি “সাউন্ডপ্রুফ সেল” তৈরির চিন্তা করছে। যাতে উনি গান গাইতে পারেন, আর বাইরের কেউ তা শুনে আত্মহত্যা না করে।

শেষ কথা: বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন মামলা-মোকদ্দমার সাথে মাইক্রোফোনও জুড়ে গেছে। মমতার কণ্ঠে ঝংকার উঠুক— তবে জেল নয়, ইউটিউবই হোক মঞ্চ!

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি একটি সম্পূর্ণ ব্যঙ্গাত্মক ও কল্পনাপ্রসূত রচনা। ‘Daily Bhuabarta’ একটি রম্য ও প্যারোডি নিউজ প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রকাশিত কোনো তথ্য বাস্তবের সঙ্গে মিলে গেলেও তা সম্পূর্ণ কাকতালীয়। দয়া করে কেউ এই লেখাকে বাস্তব সংবাদ হিসেবে গ্রহণ করবেন না।