সিরাজগঞ্জ, ১২ মে (ডেইলি ভুয়াবার্তা):
বিয়ের পর পৃথিবীর সবকিছু বদলে যায়, এরকম কথা প্রায় সবাই শোনেন। কিন্তু সিরাজগঞ্জের নূরুল (৩২) যখন বিয়ের প্রথম দিন ঘরে ঢুকলেন, তখন বুঝতেই পারলেন—ঘরের রিমোট, ফ্রিজের কন্ট্রোল এবং ফেসবুকের লগিন আইডি সবই এখন তার স্ত্রীর হাতে। নিজের জীবনের নিয়ন্ত্রণ তিনি একদম হারিয়ে ফেলেছেন। এখন তার জীবনে একটাই প্রশ্ন: “এটা কি মেহমানখানা না আমার বাড়ি?”
রিমোট, ফ্রিজ, ফেসবুক – সবই এখন বউয়ের অধিকার
নূরুলের ভাষায়, “প্রথম দিন আমি টিভি চ্যানেল চেঞ্জ করার চেষ্টা করেছিলাম, বউ বলল, ‘এইটা তুই করার পারমিশন পাসনি।’ এরপর আমি ফ্রিজে কিছু খুঁজতে গিয়ে দেখলাম, বউয়ের পছন্দের সব খাবার সাজানো। আমি যা খেতে চাই, তা পাই না। আর ফেসবুকে? পাসওয়ার্ডের চেইঞ্জ আর ব্লকিং চলছে রেগুলার।”
এখন নূরুলের একটি দিন কাটে বউয়ের নির্দেশে। “আমি যদি কিছু বলি, সেটা একেবারে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হয়ে যায়। ফেসবুকে বউ যা পোস্ট করে, সেটাই আমার প্রোফাইল হয়ে যায়। এতদিন আমি যা ছিলাম, এখন আমি শুধু ‘শেয়ার’ হিসেবে আছি।”
বন্ধুরা বলছেন, “তুই এখন টেকনোলজির দিকে নয়, টেকনোলজি তোর দিকে!”
বন্ধু রফিক বলছেন, “নূরুল তো আজকাল কোন কথা বললেই বউয়ের এক টিপে সাইলেন্ট হয়ে যায়। টিভি চ্যানেলেও তার কথার কোনো গুরুত্ব নেই, বউ বললেই শো বন্ধ। আচ্ছা, কবে থেকে বউ ঘরের রিমোট থেকে টিভির রিমোটে পরিণত হলো?”
বউয়ের হাতে ক্ষমতা, নূরুলের ক্ষমতা হ্রাস
নূরুল আরও জানান, “এক সময় আমি সংসারে পারফেক্ট ছিলাম, সব কাজ ছিল আমারই। এখন বউ সিদ্ধান্ত নেয়—কি খাবো, কি পরবো, কোথায় যাবো। আমার তো মনে হয়, আমি এখন শুধু সাদা প্যান্ট পরা হোটেলের ক্যাশিয়ার।”
তারপর একদিন নূরুল ভাবলেন, “আজকের দিনে নতুন কিছু তো করতেই হবে। আমার মনে হলো, আমি একটা ট্যাবলেট কিনবো, বউ সেটা দেখতেই বলে ‘সেটা কেন? তোর আর আমার পছন্দ এক নয়!’ সুতরাং আমি জানলাম, বউ এখন সংসারের পাশাপাশি আমার সব সখেরও নিয়ন্ত্রণ করছে।”
ফেসবুকে বউয়ের খোলাখুলি নির্দেশনা
গতকাল রাতে নূরুল ফেসবুকে একটি পোস্ট দিলেন: “প্রেমের মজাটা তো না বুঝলে, এখন একমাত্র ফ্রিজ ও রিমোটের মধ্যেই সেই পুরানো ভালোবাসা পাওয়া যাবে।” তার বউ সেই পোস্টে মন্তব্য করেন: “তোমার মনোভাব পছন্দ হয়নি, আর তোমার পোস্টটা আনফলো!”
বিশেষজ্ঞদের মতামত
ভুয়াবার্তা বিশেষজ্ঞরা বলেন, “নূরুলের মতো সমস্যায় পড়েন অনেক স্বামী। তবে তাদের উচিত দৃষ্টিভঙ্গি বদলে পরিবারে সমতা রাখা। এরকম একতরফা নিয়ন্ত্রণ ঘরকে আধিকারিক স্তরে নিয়ে যেতে পারে, যা পরিবারের মধ্যে সমঝোতার অভাব তৈরি করতে পারে।”
শেষ কথা
এখন নূরুল সব কিছু মেনে নিয়েছেন, আর বলেন, “যতক্ষণ বউ খুশি, ততক্ষণ আমি শান্তিতে আছি। অবশ্য আরেকটু ভালো হলে রিমোটটা নিজের হাতে নিতাম!”
ডিসক্লেইমার: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র স্যাটায়ার ও মজার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি, স্থান বা ঘটনার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। সকল চরিত্র কল্পনা এবং ঘটনাগুলি শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য।